
সকাল থেকেই শরীর ভার লাগছে? কাজ করতে ইচ্ছে করছে না, অথচ ভারী কোনো কাজও করা হয়নি—এমনটা অনেকেরই ঘটে। আধুনিক ব্যস্ত জীবনে ক্লান্তি যেন একেবারেই স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে প্রতিদিন যদি এভাবে সারাদিন ক্লান্ত বোধ করেন, তাহলে সেটি উপেক্ষা করার মতো বিষয় নয়। এর পেছনে থাকতে পারে শারীরিক বা মানসিক নানা কারণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সাধারণ অভ্যাসই আমাদের অজান্তে শরীর থেকে শক্তি কমিয়ে দেয়। আসুন জেনে নিই এমন পাঁচটি কারণ—
১. অনিয়মিত খাবার অভ্যাস
সকালে নাস্তা বাদ দেওয়া বা দুপুরে হালকা কিছু খেয়ে সারাদিন কাটানো—এসব অভ্যাসে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। ফলে এনার্জি কমে গিয়ে ক্লান্তি চেপে বসে।
করণীয়: দিনে ৩ বেলা নিয়মিত খাবার ও মাঝে ২ বেলা হালকা নাশতা গ্রহণ করুন।
২. মানসিক চাপ
দুশ্চিন্তা, অফিসের টেনশন বা পারিবারিক সমস্যা শুধু মানসিক কষ্টই নয়, শারীরিক ক্লান্তিও ডেকে আনে। মাংসপেশি শক্ত হয়ে যাওয়া, মাথা ব্যথা বা হজমের সমস্যাও দেখা দেয়।
করণীয়: প্রতিদিন অন্তত কিছু সময় নিজের জন্য রাখুন। মেডিটেশন, হালকা ব্যায়াম বা প্রিয় কোনো কাজ মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।
৩. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব
অতিরিক্ত মোবাইল বা টিভি ব্যবহার রাতের ঘুম নষ্ট করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্লান্তির সঙ্গে সঙ্গে বিরক্তি, মন খারাপ এমনকি ভুলে যাওয়ার প্রবণতাও বেড়ে যায়।
করণীয়: প্রতিদিন ৭–৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম নিশ্চিত করুন। ঘুমানোর অন্তত আধঘণ্টা আগে স্ক্রিন ব্যবহার বন্ধ রাখুন।
৪. ওজন বেশি থাকা
অতিরিক্ত ওজন শরীরকে স্বাভাবিক কাজেও বেশি পরিশ্রম করায়। তাই স্থূলতা থাকলে অল্প কাজেই ক্লান্তি এসে যায়।
করণীয়: সুষম খাদ্য ও হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে ধীরে ধীরে ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।
৫. ডায়াবেটিস
রক্তে শর্করার ভারসাম্য না থাকলে শরীর প্রয়োজনীয় এনার্জি ব্যবহার করতে পারে না। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে নিয়মিত ক্লান্তি দেখা যায়।
করণীয়: ক্লান্তির সঙ্গে যদি ঘন ঘন প্রস্রাব, অতিরিক্ত পানি তেষ্টা বা অজান্তে ওজন কমে যায়—তাহলে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করান।
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আজহারুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ইব্রাহিমপুর, মিরপুর, ঢাকা-১২১০। আঞ্চলিক কার্যালয়: উকিলের মোড়, কলেজ স্টেশন রোড়, নীলফামারী।