
শরীরের জন্য ডিম যে উপকারী, তা সবারই জানা। তবে মুরগির ডিমের পাশাপাশি এখন স্বাস্থ্যসচেতনদের তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে কোয়েলের ডিম। আকারে ছোট হলেও পুষ্টিগুণে এটি অনেক সময় মুরগির ডিমকেও ছাড়িয়ে যায়।
কম কোলেস্টেরল, বেশি প্রোটিন
কোয়েলের ডিমে কোলেস্টেরলের মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম, আর প্রোটিনের পরিমাণ কিছুটা বেশি। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এটি রাখলে শরীর গঠনে সহায়তা করে এবং হৃদ্স্বাস্থ্যের জন্যও তুলনামূলক নিরাপদ।
পুষ্টির আধার
এই ডিমে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও প্রয়োজনীয় এনজাইম রয়েছে, যা শরীরের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে এবং শক্তি যোগায়।
ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ
কোয়েলের ডিমে ভিটামিন বি-১, বি-২, আয়রন এবং ফসফরাসের পরিমাণ মুরগির ডিমের তুলনায় বেশি বলে জানা যায়। দুর্বলতা, রক্তস্বল্পতা বা সার্বিক সুস্থতার জন্য এগুলো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
এর ভেতরের কিছু উপাদান শরীরকে অ্যান্টিবডি তৈরিতে সহায়তা করে, ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়।
শিশুদের জন্যও উপকারী
শারীরিক ও মানসিক বিকাশে কোয়েলের ডিম উপকারী হতে পারে। বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক—সবাই পরিমিত পরিমাণে খেতে পারেন।
ছোট হলেও পুষ্টির দিক থেকে শক্তিশালী—এইভাবেই পরিচিতি পাচ্ছে কোয়েলের ডিম। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের জন্য সকালের নাশতায় এটি হতে পারে সহজ ও উপকারী এক সংযোজন।
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আজহারুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ইব্রাহিমপুর, মিরপুর, ঢাকা-১২১০। আঞ্চলিক কার্যালয়: উকিলের মোড়, কলেজ স্টেশন রোড়, নীলফামারী।