
নিজস্ব প্রতিবেদক নীরা:
উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলে দিন দিন ঘন হতে শুরু করেছে কুয়াশার চাদর। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তরের হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে—শীত ধীরে ধীরে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, যা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে সকাল-সন্ধ্যায় কুয়াশার দাপট বেড়ে যাওয়ায় শীত অনুভূত হচ্ছে আরও বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নভেম্বরের শেষভাগে সাগরে ঝড়ের সম্ভাবনা না থাকলে তাপমাত্রা আরও দ্রুত নামতে পারত। সে ক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কুয়াশা ছড়িয়ে পড়ত এবং শৈত্যপ্রবাহ বিস্তৃত হতো আরও আগেই।
এদিকে আবহাওয়া বিশ্লেষণে কাজ করা বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেটরি টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, সাগর পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে ডিসেম্বরেই দেশের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে। তাদের মতে, নভেম্বরজুড়ে ঠান্ডার অনুভূতি থাকলেও তা শৈত্যপ্রবাহের পর্যায়ে নামার মতো তাপমাত্রা এখনো নেমে আসবে না।
বিডব্লিউওটির একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে বলা হয়, “ডিসেম্বর মাসেই মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। তবে তার আগেই দেশের সর্বত্র শীতের পরশ টের পাওয়া যাবে।”
সব মিলিয়ে স্পষ্ট হচ্ছে, চলতি পুরো নভেম্বর জুড়ে দেশের মানুষ উপভোগ করতে পারবে হিমেল বাতাস আর কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের আবহ। ডিসেম্বর এলেই নেমে আসতে পারে আরও তীব্র ঠান্ডার দাপট।
মন্তব্য করুন