গত কয়েকদিনের তীব্র গরমে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে, পর্যাপ্ত পরিমানে বেড না থাকায় অধিকাংশ রোগীদের হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা সেবা নিতে দেখা গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাযায়, গত কয়েকদিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শতাধীক রোগী এখানে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে বৃদ্ধ ও শিশুদের সংখ্যায় বেশী। তীব্র দাবদাহ ও গরমের মধ্যে বড়দের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
গতকাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, প্রচন্ড পেটে ব্যাথা, জ¦র, বমি ও ডায়রিয়ার উপস্বর্গ নিয়ে হাসপাতালের ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে মেঝেতে এবং বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।
এদিকে হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতার তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় রোগী ও স্বজনদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে। ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যা বিশিষ্ট থাকলেও সেখানে ৩গুন রোগী ভর্তি হয়। অপরদিকে দর্শনাথীদের ভীড়ে চিকিৎসা সেবা দিতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চরম বেগপেতে হচ্ছে। সেবার মান নিয়েও রয়েছে নানামূখী অভিযোগ। উপজেলায় প্রায় ৩লক্ষ মানুষের জন্য ২৪ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৫জন ডাক্তার। চাহিদা মতে ডাক্তার না থাকায় ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমওডিস ডাঃ কামরুল হাসান নোবেল বলেন, “আমাদের ৫০ শয্যার হাসপাতাল, অথচ এখানে রোগী আছে ১শত ৩০ জনেরও বেশি। তাই অধিক রোগীকে মেঝে অথবা বারান্দায় রাখতে হয়েছে। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে পর্যাপ্ত স্যালাইন, ইনজেকশন রয়েছে। নার্স,ওয়ার্ড বয়রা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছি। রোগীদের ভোগান্তি কমাতে বেডের সংখ্যা বাড়ানোর দাবী জানান অনেক।
মন্তব্য করুন