নেমেছে কর্তৃপক্ষ
মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে এয়ার ইন্ডিয়ার দুটি ভয়াবহ ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে ভারতের বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে।
গত ১৪ জুন দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভিয়েনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজটি মাঝআকাশে হঠাৎ করে প্রায় ৯০০ ফুট নিচে নেমে আসে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়, তবে শেষপর্যন্ত বিমানটি ৯ ঘণ্টা ৮ মিনিটের দীর্ঘ যাত্রা শেষে নিরাপদেই ভিয়েনায় অবতরণ করে।
এ ঘটনায় বিমানের দুই পাইলটকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর নির্দেশে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্ল্যাক বক্সের ডেটা বিশ্লেষণ করে ঘটনার বিস্তারিত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার একজন মুখপাত্র বলেন, “পাইলটদের রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা নিয়ম মেনে ডিজিসিএকে অবহিত করেছি। প্রাথমিক তদন্তে কিছু অসঙ্গতির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পাইলটদের ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্বে রাখা হচ্ছে না।”
এই ঘটনার মাত্র দু’দিন আগে, ১২ জুন, আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ২৪২ যাত্রীর মধ্যে ২৪১ জন প্রাণ হারান। নিহত হন আরও কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দাও।
ঘটনার পরপরই উদ্ধার করা হয় বিমানের ব্ল্যাক বক্স। বিশেষজ্ঞ দল এরই মধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, আগামী ১১ জুলাইয়ের মধ্যে ওই দুর্ঘটনার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, সাম্প্রতিক এই দুর্ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আগামী ২৩ জুন এক বিশেষ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। সেখানে বিমান চলাচলের সার্বিক নিরাপত্তা, পাইলট ও কারিগরি জনবল ঘাটিসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন