
নিজস্ব প্রতিবেদ,: নীরা
শহরের ব্যস্ত জীবনে একই ছাদের নিচে থেকেও পরিবারের সদস্যদের একসঙ্গে বসা এখন যেন বিরল ঘটনা। সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে সবাই ঘরে ফেরে সন্ধ্যায়, আর দিনের গল্প, হাসি-মজা, খুনসুটি জমে ওঠে এক জায়গাতেই—খাবার টেবিলে।
খাবার টেবিল তাই শুধু খাওয়ার স্থান নয়; এটি হয়ে ওঠে সম্পর্কের বন্ধন গড়ার এক উষ্ণ পরিসর।
টেবিল কেমন হবে, তা নির্ভর করে পরিবারের ধরন, ঘরের আয়তন এবং সদস্যসংখ্যার ওপর। নবদম্পতির ঘরে মানানসই হয় ছোট, আধুনিক নকশার টেবিল, আবার যেখানে বয়স্ক সদস্য আছেন সেখানে দরকার আরামদায়ক চেয়ার ও উপযুক্ত উচ্চতার টেবিল।
ঘরের আয়তনের সঙ্গে টেবিলের মাপ মিলিয়ে নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। ছোট ঘরে বড় টেবিল যেমন বিশৃঙ্খল লাগে, তেমনি বড় ঘরে ছোট টেবিল অস্বস্তিকর হতে পারে। কেউ পছন্দ করেন গোল, কেউ আয়তাকার বা বর্গাকার টেবিল—পছন্দ ভিন্ন হলেও মূল লক্ষ্য থাকে আরাম ও ব্যবহারিক সুবিধা।
পরিবার ছোট হলে চার সিটের টেবিলই যথেষ্ট, কিন্তু বড় পরিবার বা অতিথি আপ্যায়নে যাদের আগ্রহ বেশি, তাদের জন্য দরকার প্রশস্ত টেবিল। জায়গা বাঁচাতে অনেকেই চেয়ারের বদলে বেঞ্চ ব্যবহার করেন—একসঙ্গে এক সারিতে কয়েকজন বসার সুবিধা হয় এতে।
যাদের ঘরে জায়গা কম, তাদের জন্য ফোল্ডিং ডাইনিং টেবিল দারুণ সমাধান। প্রয়োজনে খোলা যায়, কাজ শেষে আবার ভাঁজ করে রাখা যায় সহজেই। নতুন সংসারে আলাদা টেবিল কেনা না পারলেও এখন এমন বহুমুখী টেবিল পাওয়া যায়, যেটি একসঙ্গে কাজের টেবিল ও খাবার টেবিল হিসেবে ব্যবহারযোগ্য। কেউ কেউ নিচে ছোট স্টোরেজও রাখেন—যেখানে রাখা যায় প্লেট, টিস্যু বা প্রয়োজনীয় জিনিস।
আর যদি চান একটু ভিন্নতা, তাহলে জাপানি ধাঁচে নিচু টেবিলও হতে পারে আকর্ষণীয় বিকল্প। শতরঞ্জি বা ম্যাটের ওপর বড় বালিশে বসে খাওয়ার অভিজ্ঞতা দেয় এক অন্যরকম স্বাদ। তবে পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের জন্য অবশ্যই উঁচু ও আরামদায়ক টেবিল বেছে নেওয়া ভালো।
খাবার টেবিলের গল্প আসলে আসবাবের নয়—এটি পরিবারের ভালোবাসা, সময় ও একতার প্রতীক। একটু যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে সাজালে এই ছোট্ট কোণটিই হয়ে উঠতে পারে ঘরের সবচেয়ে আপন জায়গা।
মন্তব্য করুন