
নিজস্ব প্রতিবেদক:নীরা:
ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের একটি অপরিহার্য খনিজ উপাদান। এটি হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে, পেশি ও স্নায়ু ঠিকভাবে কাজ করতে এবং হৃদ্যন্ত্রের ছন্দ বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে, যেমন ঘাটতি শরীরে সমস্যা তৈরি করে, তেমনি অতিরিক্ত গ্রহণও হতে পারে বিপজ্জনক।
কিডনির জটিলতা
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বাড়ে। মারাত্মক ক্ষেত্রে কিডনির কার্যক্ষমতাও হ্রাস পেতে পারে।
পেশি ও স্নায়ুর সমস্যা
যদিও ক্যালসিয়াম পেশি সংকোচনের জন্য জরুরি, অতিরিক্ত পরিমাণ শরীরে ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। এর ফলে পেশিতে ব্যথা, খিঁচুনি কিংবা দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
মানসিক প্রভাব
গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ কিছু মানুষের মধ্যে মানসিক ক্লান্তি, অবসাদ বা উদ্বেগের অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।
হাইপারক্যালসিমিয়া ও ওষুধের প্রতিক্রিয়া
রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে তা হাইপারক্যালসিমিয়া নামে পরিচিত। এতে অন্য ওষুধের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে, বিশেষ করে হৃদ্রোগের ওষুধ বা আয়রন সাপ্লিমেন্টের সঙ্গে একত্রে খেলে। ফলস্বরূপ মাথা ঘোরা, বমি ভাব বা অনিয়মিত হৃদ্স্পন্দনের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
যাদের আগে থেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের জন্য অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম আরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
কী করবেন
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিত নয়। খাদ্য থেকেই প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম পাওয়া সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। দুধ, দই, ছোট মাছ, ডিম, শাকসবজি ইত্যাদিতে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম রয়েছে।
শরীর সুস্থ রাখতে ক্যালসিয়াম দরকার, কিন্তু ‘অতিরিক্ত নয়, সঠিক মাত্রাই সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি।’
মন্তব্য করুন