
বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাকবিধি চালু করেছে। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নারী কর্মীদের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ওড়না এবং পেশাদার ও শালীন পোশাক পরিধান করতে হবে। ছোট হাতা ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের পোশাক এবং লেগিংস পরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এই নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ-২। এতে নারী কর্মীদের জন্য সাদামাটা রঙের হিজাবের অনুমতি দেওয়া হলেও, তা বাধ্যতামূলক নয়। পুরুষ কর্মীদের ক্ষেত্রে লম্বা বা হাফ হাতার ফরমাল শার্ট, ফরমাল প্যান্ট এবং ফরমাল জুতা নির্ধারণ করা হয়েছে। জিনস ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, অফিসের পরিবেশে শৃঙ্খলা, শালীনতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখতেই এই উদ্যোগ। তিনি বলেন, “প্রতিষ্ঠানে যেন পোশাকের মাধ্যমে বৈষম্য না তৈরি হয় এবং সবাই যেন সম্মানজনক পরিবেশে কাজ করতে পারে, সে কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাস করা তরুণ কর্মীদের মধ্যে অফিস-উপযোগী পোশাকের বিষয়ে সচেতনতার অভাব লক্ষ্য করা গেছে। তাদের জন্য স্পষ্ট দিকনির্দেশনার প্রয়োজনীয়তা থেকেই এই নিয়ম চালু হয়েছে।
তবে এই নির্দেশনায় বিরোধিতা এসেছে বিভিন্ন পক্ষ থেকে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেছেন, “অফিসে কে কী পোশাক পরছে তা নয়, বরং পেশাগত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে কি না, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি মনে করেন, এই ধরনের পোশাকবিধি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বলয়ের প্রতিফলন, যা নারীর পোশাককে কেন্দ্র করে নিয়ন্ত্রণমূলক দৃষ্টিভঙ্গিকে তুলে ধরে।
পোশাকবিধির সঠিক বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি বিভাগ ও ইউনিটে একজন করে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে, যিনি তদারকি করবেন এবং ব্যত্যয় হলে বিভাগীয় প্রধানকে অবহিত করবেন।
মন্তব্য করুন