
শরীরের মেদ সাধারণত প্রথম নজরে পড়ে পেটের অংশে, তবে এটি শুধুমাত্র ভুঁড়ির আশপাশেই জমে না। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশে, এমনকি ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঘিরেও জমে থাকে এই অতিরিক্ত চর্বি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেহের গভীরে জমে থাকা এই ‘ভিসারাল ফ্যাট’ বা অভ্যন্তরীণ চর্বি শরীরের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর। কারণ এটি চোখে না পড়লেও দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য বিপজ্জনক রোগের ঝুঁকি বাড়িয় দেয় “শুধু পেটের বিশেষ কিছু ব্যায়াম করলেই মেদ কমবে—এই ধারণা ঠিক নয়। বরং পুরো শরীরের ক্যালরি খরচ করতে হবে, যাতে শরীর সামগ্রিকভাবে সাড়া দেয়।”
শুধু পেট নয়, পুরো শরীরের ব্যায়াম জরুরি
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পেটের পেশি শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাব এক্সারসাইজ—যেমন ক্রাঞ্চ, প্ল্যাঙ্ক, সিট-আপ, হুলা হুপ ইত্যাদি উপকারী হলেও এগুলো এককভাবে মেদ কমাতে পারে না। এগুলো করলে পেট কিছুটা টানটান লাগতে পারে, তবে ভিসারাল ফ্যাট কমানোর জন্য কার্ডিও ও ক্যালরি বার্নিং এক্সারসাইজ জরুরি।
যেসব ব্যায়াম কার্যকর
পেটের মেদ কমাতে হলে দৈনন্দিন অভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত—
জগিং বা দৌড়ানো
দ্রুত হাঁটা
সাইক্লিং ও সাঁতার
দড়িলাফ ও ভারোত্তোলন
হাই ইনটেনসিটি ইন্টারভ্যাল ট্রেনিং (HIIT)—যেখানে তীব্র ও হালকা ব্যায়ামের পর্যায়ক্রম চলে
শুরু করবেন যেভাবে
ডা. তাসনোভা মাহিন পরামর্শ দেন, “ব্যায়াম শুরু করার আগে শরীরের সামর্থ্য অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে। একবারে কঠিন ব্যায়ামে না গিয়ে হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে সময় ও তীব্রতা বাড়ান। সম্ভব হলে একজন প্রশিক্ষকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।”
সুস্থ ও স্লিম থাকার জন্য শুধু নির্দিষ্ট অংশের ব্যায়ামের ওপর নির্ভর না করে, সারা শরীরের জন্য কার্যকর ব্যায়াম বেছে নেওয়াই সবচেয়ে ভালো পন্থা। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার ও পর্যাপ্ত ঘুমও রাখতে হবে নিয়মিত রুটিনে।
সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত। ব্যক্তিগত পরামর্শের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
মন্তব্য করুন