
রাজনীতি প্রতিবেদক:
আসন বণ্টন নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি। তবে দলটির শীর্ষ পর্যায় সূত্রে জানা গেছে, আসন ছাড়ের সংখ্যা এবার পঞ্চাশের আশপাশে থাকতে পারে। জোটের পরিধি বড় হলে ছাড়ের সংখ্যাও বাড়বে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী জোটে এবার জামায়াতের বাইরে থাকা অন্যান্য ইসলামী দল ও আলেমদের পাশাপাশি বামপন্থি কিছু দলকেও অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। গণঅভ্যুত্থানের সময় গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সঙ্গেও রাজনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে বিএনপির।
দলীয় সূত্র জানায়, জোটের যেসব প্রার্থীর নিজ এলাকায় শক্ত অবস্থান এবং বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, সেইসব আসনে তাদের প্রাধান্য দিতে চায় বিএনপি। বিশেষ করে ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলোতে স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় মিত্রদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তবে মিত্র দলগুলোর অভিযোগ, কেন্দ্র থেকে এখনো স্পষ্ট নির্দেশনা না আসায় মাঠ পর্যায়ে বিভ্রান্তি দেখা দিচ্ছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দায়িত্বশীলরা জোটের মনোনয়ন নিয়ে সুনির্দিষ্ট বার্তা না দেওয়ায় প্রার্থীরা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন বলে জানান তারা।
১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)-এর চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, “বিএনপি যদি যত দ্রুত সম্ভব মিত্রদের আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করে প্রার্থী ঘোষণা দেয়, তাহলে প্রার্থীরা পূর্ণ উদ্যমে মাঠে নামতে পারবেন। এতে জোটের জন্যও তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জোটের পরিসর যত বড় হবে, ততই আসন বণ্টনে ভারসাম্য রক্ষা কঠিন হবে বিএনপির জন্য। তবে দলটি চায়—সহযোগী দলের শক্ত ঘাঁটিগুলোতে আসন ছেড়ে কৌশলগত সুবিধা নিতে, যাতে ভোট বিভাজন রোধ হয় এবং বিরোধী জোটের সার্বিক ফলাফল ভালো আসে।
সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ:
বিএনপি এবার প্রায় ৫০টি আসন মিত্রদের ছাড়ার পরিকল্পনা করছে। তবে জোট সম্প্রসারিত হলে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কেন্দ্রীয় সমন্বয়ের অভাবে মাঠে বিভ্রান্তি থাকলেও দ্রুত প্রার্থী চূড়ান্তের দাবি তুলেছে জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন