
বাংলাদেশের মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফিরেছে। ডলারের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের দাম স্বাভাবিক রাখতে সরাসরি ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে মার্কিন মুদ্রা কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত দুই দিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৪৮ কোটি ডলার কিনেছে, যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করার পর ব্যাংকগুলো নিয়মিত নিজেদের মধ্যে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে ডলার বেচাকেনা করছে। এতে বাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে। বর্তমানে প্রবাসী আয়ের ডলার ব্যাংকগুলো ১২১ টাকা দরে কিনছে, যেখানে এক মাস আগেও দাম ছিল ১২৩ টাকার ওপরে।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার কিনেছে ২২টি ব্যাংকের কাছ থেকে, প্রতিটি ডলারের দাম ছিল ১২১ টাকা ৫০ পয়সা। এর আগে রোববার আরও ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কেনা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বকেয়া আমদানি দায় পরিশোধ হওয়ায় ডলারের ওপর চাপ কমেছে। সেই সঙ্গে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয় বাড়ায় সংকট অনেকটাই কেটে গেছে।
তবে গতকাল ডলারের দাম সামান্য বেড়েছে। মুদ্রাবাজারে সর্বোচ্চ ১২১ টাকা ৫০ পয়সায় এবং সর্বনিম্ন ১২০ টাকা ৮০ পয়সায় ডলার লেনদেন হয়। আগের দিনের তুলনায় বিক্রয়মূল্যে ১ টাকা ৪০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ডলারের দাম কমার কারণে আমদানি ব্যয় কিছুটা কমেছে, যা মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। দীর্ঘদিন ধরে দেশের সাধারণ মানুষ যেভাবে মূল্যস্ফীতির চাপ অনুভব করছে, তা হ্রাসে ডলারের স্থিতিশীল দাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এদিকে অনেক ব্যাংক কর্মকর্তা বলছেন, এখন আমদানি নিয়ন্ত্রণে দেওয়া বিধিনিষেধ ও বিলাসপণ্যে আরোপিত শর্তগুলো শিথিল করার সময় এসেছে। এতে আমদানি বাড়বে এবং অর্থনীতির গতি ফেরানো সহজ হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, বর্তমানে ডলারের যে দাম রয়েছে তা স্বাভাবিক এবং এ অবস্থাকে ধরে রাখতেই বাজারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন