
নিজস্ব প্রতিবেদক, নীরা:
আজকের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় সারাদিন কম্পিউটার, মোবাইল বা ট্যাবের পর্দায় চোখ রাখাই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, প্রাকৃতিক আলোতে সময় না কাটানো ও মানসিক চাপ—সব মিলিয়ে চোখের ওপর বাড়ছে অতিরিক্ত চাপ। তবে সুখবর হলো, চোখের যত্নে প্রকৃতিতেই আছে সহজ ও সুস্বাদু সমাধান। পুষ্টিবিদদের মতে, কিছু নির্দিষ্ট ফল নিয়মিত খেলে চোখের ক্লান্তি কমানো, দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ রাখা ও বয়সজনিত চোখের সমস্যা প্রতিরোধ সম্ভব।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই চার উপকারী ফলের কথা—
১. ব্লুবেরি: চোখের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়ারহাউস
ছোট হলেও ব্লুবেরি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের কোষে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং বয়সজনিত ক্ষতি রোধে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্লুবেরি খেলে চোখ থাকে সতেজ, দৃষ্টিশক্তিও দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
২. কমলালেবু: চোখের টিস্যুর রক্ষাকবচ
ভিটামিন সি-এর অন্যতম উৎস কমলালেবু শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, চোখের টিস্যুর গঠনও মজবুত রাখে। এটি চোখের লেন্স ঘোলাটে হওয়া প্রতিরোধ করে, ফলে দৃষ্টিশক্তি থাকে পরিষ্কার ও প্রাণবন্ত।
৩. পেঁপে: শুষ্ক ও ক্লান্ত চোখের প্রাকৃতিক প্রতিষেধক
যাদের চোখে জ্বালাপোড়া, চুলকানি বা শুষ্কতা অনুভূত হয়, তাদের জন্য পেঁপে এক কার্যকর সমাধান। এতে থাকা এনজাইম ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান চোখের প্রদাহ কমায় এবং প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
৪. কিউই: রেটিনার রক্ষাকবচ
সবুজ কিউইতে রয়েছে লুটেইন, জিয়াজ্যানথিনসহ নানা উদ্ভিদ যৌগ, যা রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে। বয়সজনিত অবক্ষয়ে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হওয়ার ঝুঁকি কমাতে কিউই বেশ কার্যকর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে প্রতিদিন এসব ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে চোখের ক্লান্তি কমবে, দৃষ্টিশক্তি দীর্ঘদিন সুস্থ থাকবে।”
মন্তব্য করুন