
নিজস্ব প্রতিনিধি, নীরা:
আমলকী শুধু টক স্বাদের একটি ফল নয়—এটি প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। ভিটামিন সি, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই ফল শরীরকে ভেতর থেকে সতেজ রাখে। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন সকালে একটি আমলকী খাওয়ার অভ্যাস শরীর, মন ও ত্বক—সবকিছুর যত্ন নেয় স্বাভাবিকভাবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমলকীতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত খেলে জ্বর, সর্দি কিংবা মূত্রনালির সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ক্লান্তি ও মানসিক অবসাদ দূর করে
অলসতা, মনোযোগহীনতা বা হালকা বমি বমি ভাবের সময় আমলকী বেশ কার্যকর। এটি শরীরে শক্তি জোগায় এবং মন ভালো রাখতে সহায়তা করে।
অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের সমস্যা কমায়
আমলকীর রস হজমে সহায়তা করে, পেটের জ্বালাপোড়া ও গ্যাসের সমস্যা দূর করে। যারা নিয়মিত অম্বলে ভোগেন, তাদের জন্য এটি প্রাকৃতিক প্রতিষেধক।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
আমলকীতে থাকা ফাইবার অন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, ফলে হজম ভালো হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
শরীরের ফোলাভাব কমায়
আমলকীর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ শরীরের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর জলীয় উপাদান থাকায় শরীর থাকে হাইড্রেটেড।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
আমলকীর ভিটামিন সি রক্তনালিকে নমনীয় রাখে, ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে এবং হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে।
দাঁত ও মাড়ির যত্নে কার্যকর
আমলকী মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, দুর্গন্ধ ও দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁতকে করে মজবুত ও উজ্জ্বল।
শরীরের টক্সিন বের করে দেয়
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর আমলকী প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীরের ক্ষতিকর উপাদান দূর করে, ফলে শরীর থাকে সতেজ ও পরিশুদ্ধ।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
আমলকীর উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস ও গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।
মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে
আমলকী মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং দীর্ঘস্থায়ী সর্দি-কাশি কমাতেও সহায়তা করে।
ত্বক ও চুলে আনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা
আমলকী কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে করে টানটান ও দাগহীন। পাশাপাশি চুল হয় ঘন, নরম ও ঝলমলে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন সকালে নাশতার পর একটি আমলকী খাওয়ার অভ্যাস শরীরকে ভেতর থেকে শক্তিশালী রাখে। নিয়মিত খেলেই বুঝবেন—ছোট এই ফলটি আসলে কত বড় এক প্রাকৃতিক ওষুধের ভান্ডার।
মন্তব্য করুন