
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ১,১৮৬ জন, ছাড়পত্র ১,১৬৭ জন এবং চিকিৎসাধীন ১৯ জন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ১,১০২ জন, ছাড়পত্র ১,০১৩ জন, মৃত্যু ১০ ও চিকিৎসাধীন ৭৯ জন।
বিশেষজ্ঞ মতামত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ মনে করেন, ডেঙ্গুর বাড়তি সংক্রমণের মূল কারণ জলবায়ু পরিবর্তন, নগর ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং জনসচেতনতায় ঘাটতি।
তার ভাষায়, “থেমে থেমে বৃষ্টিতে শহরে পানি জমে থাকে, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও নালা-নর্দমার দুরবস্থায় মশার প্রজননের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। উপরন্তু সচেতনতার অভাবও বড় কারণ—যেখানে-সেখানে পানি জমে থাকা বা আবর্জনা ফেলে রাখা এখনো সাধারণ চিত্র।”
সমাধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে লার্ভা ধ্বংসই প্রথম ধাপ। এজন্য লার্ভিসাইড ও অ্যাডাল্টিসাইড—দুই ধাপে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। নীতিমালা থাকলেও বাস্তবায়ন দুর্বল। রাষ্ট্র যদি করোনা মহামারির মতো ডেঙ্গুকেও অগ্রাধিকারে রাখে, তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “মৌসুমে কিছু ফগার চালানো বা ওষুধ ছিটানো দিয়ে দায়সারা কাজ হয় না। ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষা ও মশার রেজিস্ট্যান্স যাচাই নিয়মিত করতে হবে। আমদানিতে সিন্ডিকেট থাকলে কার্যকর ওষুধ সময়মতো আসে না—এটিও বড় সমস্যা।”
মন্তব্য করুন