
দেশের পুঁজিবাজারে বড় অঙ্কের বিনিয়োগকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বিশেষ করে কোটি টাকার বেশি পুঁজিবিনিয়োগ রয়েছে—এমন বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। পাশাপাশি ১০০ কোটি এবং ৫০০ কোটির বেশি পোর্টফোলিওধারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও ধীরে ধীরে বাড়ছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৫০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে—এমন বিও হিসাবের সংখ্যা ৭০টি, যেখানে এক বছর আগে এই সংখ্যা ছিল ৬৮টি। একইভাবে, ১০০ কোটির বেশি বিনিয়োগকারী বিও হিসাব ৩৪৭টি থেকে বেড়ে হয়েছে ৩২৫টি এবং ৫০ কোটির বেশি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ৬৯৬ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩৩টি।
এছাড়াও, ১০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে এমন বিও হিসাব ২ হাজার ৮৯১টি, যা গত বছরের তুলনায় সামান্য কম। তবে ১ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে এমন হিসাব বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ৩১৬টি—যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ১২ হাজার ৯৯৩টি।
মাঝারি বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। বর্তমানে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার মধ্যে বিনিয়োগ রয়েছে এমন বিও হিসাব ২৪ হাজার ২২৫টি, যা এক বছর আগে ছিল ২২ হাজার ৯০৭টি। আর ১০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে—এমন হিসাব বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৮৩৩টি, যা আগের বছর ছিল ৯৮ হাজার ৩৭১টি।
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও বাড়তির প্রবণতা দেখা গেছে। বর্তমানে ১ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে এমন বিও হিসাব ৩ লাখ ৯০ হাজার ৩৮৫টি, যা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে, এক লাখ টাকার নিচে বিনিয়োগ রয়েছে এমন অতি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমে ৮ লাখ ৩১ হাজার ৭৪৮টিতে দাঁড়িয়েছে, যেখানে গত বছর তা ছিল ৯ লাখ ১৬ হাজার ১৫৭টি।
বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রবণতা বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়লে বাজার আরও স্থিতিশীল ও গতিশীল হবে বলে মনে করছেন তারা।
মন্তব্য করুন